সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে সফরকারীদের রীতিমতো লজ্জায় ডুবালো টাইগাররা। তাদের ৬২ রানে অলআউট করে দিলো স্বাগতিক দল। ৬০ রানের জয়ে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
সোমবার (৯ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুভ সূচনা করেন দুই ওপেনার মেহেদি হাসান ও নাঈম শেখ। ৪.৩ ওভারে দলীয় ৪২ রানে সাজঘরে ফেরেন ব্যাটিংয়ে প্রমোশন নিয়ে ওপেন করা মেহেদি হাসান। সাজঘরে ফেরার আগে ১২ বলে ১৩ রান করেন এ অলরাউন্ডার।
দলীয় ৫৭ রানে ফেরেন অন্য ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমও। ২৩ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৩ রান করে ফেরেন তিনি। নাঈম আউট হওয়ার পর মাত্র ৩ রান ব্যবধানে অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবিডব্লিউ সাকিব আল হাসান। ২০ বলে ১১ রান করার সুযোগ পান এ অলরাউন্ডার।
সাকিব আউট হওয়ার পর দলীয় ৮৪ রানে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ বলে এক ছক্কায় করেন ১৯ রান। রিয়াদ আউট হওয়ার পর ৩৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। টাইগার ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেয়ায় সম্মানজনক স্কোর গড়া সম্ভব হয়নি। ৮ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে স্বাগতিকরা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নাথান এলিস ও ডেন ক্রিস্টিয়ান দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট শিকার করেন অ্যাস্টন টার্নার, অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাডাম জাম্পা।
১২৩ রান তাড়ায় নেমে অজিরাও ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন এনেছিলো। গত ম্যাচে পাঁচ ছক্কা মারা ক্রিশ্চিয়ান নামেন ওয়েডের সঙ্গে। দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ড্যান ক্রিশ্চিয়ানকে (৩) বোল্ড করে দেন নাসুম আহমেদ। ফিরতি ওভারে এসে বিপজ্জনক মিচেল মার্শকে (৪) লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন এই তরুণ স্পিনার। ১৭ রানে দুই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ম্যাথু ওয়েড আর ম্যাকডারমট। জুটিতে ২১ রান আসতেই নিজের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ২২ বলে ২২ রান করা অজি অধিনায়ককে বোল্ড করে দেন সাকিব আল হাসান। এটি তার ৯৯তম টি-টোয়ৈন্টি উইকেট। দলীয় ৪৮ রানে অজিদের চতুর্থ উইকেট পতন ঘটান মাহমুদউল্লাহ। ১৬ বলে ১৭ করা বেন ম্যাকডারমটকে তিনি কট অ্যান্ড বোল্ড করেন।
এরপর মঞ্চে আসেন সিরিজে প্রথমবারের মত একাদশে সুযোগ পাওয়া সাইফউদ্দিন। ইনিংসের একাদশ এবং নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড করে দেন অ্যালেক্স ক্যারিকে (৩)। ৫৩ রানে অজিদের ইনিংস অর্ধেক শেষ হয়। এরপর কেবল আসা-যাওয়ার খেলা। এক বল পরেই তার সাইফউদ্দিনের বল মোইজেস হেনরিক্সের (৩) ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটকিপার সোহানের গ্লাভসে জমা পড়ে।
এরপরেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০তম উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান। তার বলে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি হয়ে ‘গোল্ডেন ডাক’ মারেন অ্যাস্টন টার্নার। সাইফের তৃতীয় শিকার অ্যাস্টন আগার (০)। তিনি সাইফের বলে বোল্ড হলে ৮ম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। গত ম্যাচে পাঁচ ছক্কা খাওয়া বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার নাথান এলিসকে (১) বোল্ড করে তৃতীয় শিকার ধরেন। ৫৮ রানে ৯ম উইকেটের পতন। সাকিবের এই ওভারেই অল-আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ জিতে যায় ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে। ৬২ রানে অল-আউট হয় অস্ট্রেলিয়া।